অফিসে অবসরে ফেসবুকের একটা পিডিএফ গ্রুপে পুরনো কিছু বই, যে বই গুলো কিনতে পারিনি সেগুলো ঘাটছিলাম হঠাৎ চোখ পড়ল "গুজরাট ফাইলস" বইয়ের একটা পিডিএফ ফাইলের পোস্ট। বলে রাখা ভলো গ্রুপের কার্যক্রমে মনে হলো এডমিন ও মেম্বাররা মুক্তমনা টাইপের লোক। তো বইয়ের পোস্টে নিচের কমেন্ট গুলোতে চোখ বুলালাম; একজন কমেন্ট করল "ও রানা আইয়ুব থাক ডেটা নষ্ট করে লাভ নেই" আরেকজন ও এমনই একটা মন্তব্য করল। এদের কমেন্ট দেখে আমার বইটা সংগ্রহ করতে আরো আগ্রহ হলো।
চট করে ডাউনলোড করে ওপেন করলাম। পড়তে পড়তে টানা ৩৯ পৃষ্ঠা পড়ে ফেলেছি। যদিও মোবাইল বা কম্পিউটারে বই পড়তে একটানা এতক্ষণ আমি কোন সময় পড়েছি বলে মনে হয় না। এর একটা কারণ বিরক্তি আর চোখে সমস্যা হয় তাই। যাই হোক রানা আয়ূব নামটা দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম লেখক একজন ছেলে।কিন্তু বইটা পড়তে গিয়ে জানলাম তিনি একজন মেয়ে। দীর্ঘ আটমাস যাবৎ অনুসন্ধান করে বারবার মৃত্যুর হুমকির মধ্যে থেকে জীবন বাজি রেখে বইটির জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন। অনুসন্ধানের জন্য তিনি ছদ্মবেশে ও ছদ্মনামে এই আটমাস গুজরাটের অলিতে-গলিতে চষে বেড়িয়েছে।
বইটি গুজরাটের দাঙ্গা ও সাজানো বন্দুক যুদ্ধে নিরীহ মুসলমানদের কে নির্মমভাবে হত্যার এবং গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হরেন পান্ডিয়ার হত্যার রহস্য নিয়ে লেখা। ২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গুজরাটে যে সব আমলা ও পুলিশ অফিসার ছিল ছদ্মবেশে তাদের সাক্ষাৎ নিয়েছেন রানা আইয়ুব। তিনি তখন ছদ্মনাম মেথিলী ত্যাগী এবং পেশায় একজন ফিল্মমেকার হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুসন্ধানী কাজ করেছেন।
"দেশভাগের পর ভারতের শীর্ষ প্রভাবশালী ৫০ জন মুসলিম " এর তালিকায় ছিলো তার নাম।তিনি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতেন। অনুসন্ধানের আগ্রহ থেকেই "তেহেলকা" ম্যাগাজিনে যোগদেন।বর্তমানে তিনি আল-জাজিরা,ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফ্রিল্যান্সা সাংবাদিকতা করছেন।
বই:গুজরাট ফাইলস
লেখক: রানা আয়ূব
আক্তারুজ্জামান মোল্লা
২৫/০২/২৩ইং