মোঃ আক্তারুজ্জামান মোল্লা
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এজন্য যে আমি কোন প্রাবন্ধিক বা কথা সাহিত্যিক নই আর আর তেমন গুছিয়ে লিখতে ও পারিনা তাই আমার লেখায় অনেক ভুল থাকতে পারে এজন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।যাই হোক এবার আসল কথায় আসি ।
আমরা ৫২'র ভাষা আন্দোলনের পর ৭১রে পেলাম কাঙ্খিত স্বাধীনতা। সারা বিশ্বে পেলাম ভাষার স্বীকৃতি। বাংলা ভাষার চর্চা ও এর বিকৃতি থেকে বাচাতে প্রতিষ্ঠা করা হল বাংলা একাডেমী। ভাষার মান রক্ষায় করা হল ভিবিন্ন আইন।
কিন্তু আজকে কিছু ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে ভাষার বিকৃতি, অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে গ্রাস করেছে এদেশকে। ডিস চ্যানেলর মাধ্যমে দেশে ভিনদেশী ভাষা আর সংস্কৃতির আমদানি করা হচ্ছে। ফলে ঐ সব চ্যানেল গুলোর কারনে তরুণ-তরণীরা বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলছে ভিনদেশী সংস্কৃতি তাদের হৃদয়ে লালন করছে। ফলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিপন্ন হয়ে পরেছে।
৫২ সালে রক্তদান ও ৭১ এর স্বাধীনতায় অর্জিত দেশে আজো চলছে যারা আমাদের গোলামীর শৃঙ্খলে রেখেছিলো সেই ব্রিটিশদের তৈরি আইন। শুধু তাই নয় সেই আইন হুবহু ইংরেজী ভাষায় দেশের সর্বোচ্চ্য আদালতের ব্যবহার হয়। ইংরেজীতে শুনানি ,ইংরেজীতেই যুক্তিতর্ক,ইংরেজীতেই রায় লেখা ও প্রকাশ করা হয়। যার কারনে দেশে ৮০% বাদী-বিবাদী সেই কথা গুলো বুঝেনা। উকিল কিংবা ইংরেজী জানা লোকের কাছ থেকে জেনে নিতে হয়। আশ্চর্যের কথা হল বাংলা ভাষার মান রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ্য আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুল জারি করে সে গুলোও ইংরেজীতেই বেশিরভাগ সময় করা হয়।
এমন কি দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিষয়ের বই ইংরেজীতে লেখা। আমি বলছিনা ইংরেজী শেখা দরকান নাই। আমি বলতে চাচ্ছি কেন এমনটি করা হয়? শুধু ইংরেজী বই বা ইংরেজী বিভাগের বই গুলো ইংরেজী করে অন্য সকল বই বাংলায় করলে কি সমস্যা?
প্রতি বছর ঘটা করে ২১ ফেব্রুয়ারী পালন করি।অথচ এই দিনটিও ইংরেজীতে পালন করি। এরকমটি করার কারনে আজকে ৮০%বাঙ্গালী বলতে পারবেনা ৫২ সালে বাংলা কত সাল ছিল? বলতে পারবেনা ২১ ফেব্রুয়ারী বাংলা কি মাসের কত তারিখ ছিল? কারন আমরা ইতিহাস সে ভাবে তৈরি করিনি। যদি আমরা বাংলা ভাষাকে প্রকৃতই ভালবাসতাম তাহলে শুরু থেকে এই দিবসটি ও বাংলায় পালন করতাম।
আর একটি কথা শত শত কুটি টাকা দিয়ে ফুল দিয়ে মেকি ভালবাসা না দেখিয়ে শহিদ পরিবার গুলোকে সহায়তা করলে হয়ত এই আন্দোলনের প্রতি কিছুটা হলেও শ্রদ্ধা দেখানো হত।
সর্বশেষ এটাই বলব জাতিসংঘে বাংলা ব্যবহার করার দাবী না তুলে দেশের ভেতরে বাংলাকে আগে মর্যাদা দিন। আইন আদালত ও উচ্চ পর্যায়ে একাডেমীক বই গুলোতে বাংলা ভাষার ব্যাবহার নিশ্চিত করুন।ধন্যবাদ সকলকে কষ্ট করে পড়ার জন্য।