কোরবানি দাতা আর কিছু ইমাম সাহেবদের উপর পুঁজিবাদের বাতাস লেগেছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা কুরবানী বন্টনে সামাজিক অংশকে হালকা ভাবে নিয়ে তারা ফতোয়া দিচ্ছে।
কুরবানির পুরো গোস্ত শরিকরা নিজেরা নিয়ে নিতে পারবেন বলে নতুন ভাবে প্রচলন করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। তারা কুরবানির গোস্তে শুধু ফতোয়াটাই দেখছেন। এই কুরবানির গোস্ত সমস্ত দেশের যারা সারা বছর গোস্ত কিনতে পারেনা তাদের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে কমপক্ষে ৭০/৮০% সেটা দেখছেন না। এটা আমার কাছে বেইনসাফী আর ভোগবাদী
চিন্তা ধারা বলে মনে হয়।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন বর্তমানে কুরবানীতে তাকওয়া ও ত্যাগের স্পৃহা থেকে লৌকিকতা বেশি। বড়ত্ব, আমিত্ব, আভিজাত্য গ্রাস করেছে আমাদের কুরবানী। এর মধ্যে মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ সমাজে বিলিয়ে দেয়াটাই আমার কাছে কুরবানির মাধ্যমে ত্যাগের অনেক বড় উদাহরণ বলে মনে হয়।
তাই হাদিসে কুরবানির গোস্ত কুরবানি দাতার জন্য পুরোটা জায়েজ হলেও সামাজিক অংশ আলাদা বন্টন করাটাই উচিৎ বলে আমি বিশ্বাস করি।