ভোর হওয়ার আগেই জেগে যাই মমতাময়ী মা ঝটপট আটা দিয়ে রুটি বানিয়ে কয়েকটা প্যাকেট করে দিলেন।আর কয়টা রেখে দিলেন খেয়ে যাওয়ার জন্য। আমি এদিকে ফজর জামাত শেষ করে এসে ২/৩ টা রুটি খেয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে মা ও আব্বার থেকে বিদায় নিয়ে বের হলাম। রাস্তায় এসে গাড়ি পেতে দেড়ি হয়ে গেলো। আধাঘণ্টার মত অপেক্ষার পর সিএনজি পেলে পাঁচদোনা মোড়ে চলে আসি। দ্রুতই বাদশা পরিবহনের টিকেট নিয়ে বাসে উঠে পড়ি। কিন্তু বাস সিট ফিলাপ না হওয়ায় দেরি করে ছাড়ে।
২ ঘন্টার অধিক সময় জার্নির পর নিজেকে নাওজোর আবিস্কার করি। এর মধ্যে কয়েকবার ভাইয়ের কাছ থেকে ডিরেকশন নেওয়ার পর এবার শেষ গন্তব্যের স্থানের লোকেশন ও রাস্তার বিস্তারিত জেনে রওনা দিলাম আসতে আসতে অবশেষে ভাই এর সাথে দেখা। গেইটে পরিচয় দিয়ে এবার ভেতরে আসলাম।
আসতে আসতে দেরি হয়ে গেলো। উপর থেকে ভাই বললেন আজকে আর ইন্টারভিউ নিবেনা বাসায় চলে আসতে। তো দুপুরের খাবারের বিরতি পর্যন্ত ভেতরে বসে থাকলাম বিরতির সময় ভাই চাবি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিলেন।
পরের দিন ভাইয়ের সাথে চলে আসলাম।এবার ইন্টারভিউ দেওয়ার পালা। প্রথমে শুনেছিলাম আমি একাই প্রার্থী কিন্তু না কিছুক্ষণের মধ্যে আরেকজন হাজির বাড়ি তার বরিশাল। অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করলাম এর ফাঁকে দুজনে পরিচয় পর্ব ও নিজেদের সম্পর্কে কিছু জানাশোনা হল। এরই মধ্যে ইন্টারভিউর সময় চলে আসল। একটা লেপটপ নিয়ে কনফারেন্স রোমে আমাকে ডাকলো। প্রথমে একটু নার্ভাস লাগলেও নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাসী ছিলাম। কিছু টাস্ক দিলো দ্রুত তম সময়ে করে দিলাম। একটু দূরে শুনতে পেলাম কাকে জেনো বলছে "যেমন চেয়েছিলেন তেমনই পারফেক্ট "। কথাটা শুনে আরো আশাবাদী হলাম।এবার দ্বিতীয় জনের পালা ও গেলো কিছুক্ষণ পড় নার্ভাস অবস্থায় বের হলেন। হাল হাকিকত জানতে চাইলে স্মার্টলি এড়িয়ে গেলেন। পরে অবশ্য ইন্টারভিউ খারাপ হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
কিন্তুক্ষণ বাদে সেই কাঙ্ক্ষিত খবর আসল আমি ও ঐ ছেলেটাও সিলেক্টেড। তাৎক্ষণিক ম্যানেজার স্যারের কাছে হাজির করা হলে ওনি এক প্রকার ভাইভা ইন্টারভিউ নিয়ে বললেন আজ থেকেই তোমার জয়েনিং তার পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ চলছে।
আরো অনেক কিছু লেখার আছে।লেখা বড় হয়ে যাওয়ার জন্য লিখলাম না সময় করে লিখব ইনশাআল্লাহ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।